অন-পেজ এসইও কি ?
আজকের এই প্রতিযোগিতার যুগে blogging এর profession এ ক্যারিয়ার তৈরি করাটা অনেক বেশি কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আজ, ইন্টারনেটে যেকোনো বিষয়, টপিক বা niche নিয়ে হাজার হাজার তথ্য বা ভালো ভালো কনটেন্ট (content) সহজেই লোকেরা পেয়ে যাচ্ছেন।
এই ক্ষেত্রে, আপনি যদি search engine optimization এর ব্যাপারটা নিয়ে সতর্ক না থাকেন, তাহলে গুগল সার্চ থেকে যথেষ্ট traffic বা visitors পাওয়াটা আপনার জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
কেবল, ভালো ভালো ইউনিক (unique) কনটেন্ট লিখে এবং সঠিক এস ই ও অপটিমাইজেশন টেকনিক গুলির ব্যবহার করেই, গুগল সার্চ থেকে ট্রাফিক পেতে পারবেন।
মনে রাখবেন, অন পেজ এসইও টেকনিক গুলি যতটা ভালো ভাবে এপ্লাই (apply) করবেন, search engine থেকে ততটাই ভালো ভাবে visitors এবং traffic পাওয়ার সুযোগ আপনার ব্লগের হয়ে দাঁড়াবে।
অন পেজ এসইও র কাজ এটাই যে, বিভিন্ন মাধম্যে আপনার ব্লগ এবং ব্লগের কনটেন্ট গুলিকে সার্চ ইঞ্জিন (Google search) গুলির জন্য অপ্টিমাইজ করা।
এই ক্ষেত্রে করা প্রত্যেক অপটিমাইজেশন টেকনিক গুলি কেবল ব্লগের ভেতরেই সীমিত থাকে.
মানে, নিজের ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মধ্যে সীমিত থেকে যেগুলি SEO TECHNIQUES ব্যবহার করা যেতে পারে, সেগুলিকে বলা হয় “ON PAGE SEO TECHNIQUES“.
এতে, সার্চ ইঞ্জিন গুলি, আপনার ব্লগের বিষয়, কনটেন্ট এবং তথ্য গুলিকে ভালো করে বুঝতে পারে।
প্রায় ৫ বছর আগে, অন পেজ এসইও বা খালি এসইও বললে আমরা কেবল “ব্লগের আর্টিকেলে কীওয়ার্ড এর প্রচুর ব্যবহার” করাটাই ভাবতাম।
তবে, ব্লগের আর্টিকেলে কীওয়ার্ড এর সীমাহীন ব্যবহার করেই আমরা গুগল সার্চ কে সহজে সিগন্যাল (signal) দিয়ে পারতাম এবং আর অন্য কিছু করার কোনো প্রয়োজন হতোনা।
কিন্তু, প্রযুক্তির (technology) উন্নয়ন যতটা বেশি হচ্ছে, ততটাই উন্নতি হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন বোট (search engine bots) গুলির।
ফলে, ২০২০ এর এখনের সময়ে, কেবল ব্লগের আর্টিকেলের জাগায় জাগায় সীমাহীন কীওয়ার্ড (keyword) ব্যবহার করেই এসইও (seo) করাটা চলবেনা।
যাকে বলা হয়, “over keyword optimization” বা “keyword stuffing”.
আর্টিকেলে কীওয়ার্ড এর গুরুত্ব এখনো আছে যদিও, আপনি একি কীওয়ার্ড সীমাহীন সংখ্যায় ব্যবহার করলে, গুগল আপনার ব্লগকে কিছুদিন ট্রাফিক দিলেও পরের সময়ে (প্রায় ১ থেকে ২ মাস পর ) penalize অবশই করবে।
যার ফলে, over keyword optimize করা আপনার আর্টিকেল গুলি গুগল সার্চে আর কোনো সময় দেখানো হবেনা।
তাই, এখনের সময়ে অন পেজ এসইও বললে, ব্লগের আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে জড়িত keyword গুলি সীমিত পরিমানে এবং জরুরি কিছু জায়গায় স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।
একেই বলা হয় “এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল“.
তাছাড়া, আরো অনেক বিষয় এবং টেকনিক রয়েছে যেগুলিকে “অন পেজ এসইও” র ক্ষেত্রে আপনার অনেক বেশি গুরুত্ব দিতেই হবে।
অন-পেজ করার কারণ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন এ আপনার ওয়েবসাইটটি রাঙ্ক ও আরো বেশি পরিমানে ট্রাফিক আনতে সহায়তা করে থাকে। অন-পেজ যদি সঠিকভাবে করা না হয় তবে পরবর্তীতে আপনার ওয়েবসাইটটি বিভিন্ন সমস্যার মধ্যে পরে থাকে। যেমনঃ সার্চ কনসোল এ বিভিন্ন error দেখা দিবে, ইনডেক্স এ সমস্যা দেখা দেয়া, পেজ লোডিং স্পিড এ সমস্যা, এছাড়াও আরো কিছু সমস্যা দেখা যায় যা ওয়েবসাইট এ সরাসরি প্রভাব ফেলে থাকে।
তাই আজ আপনাদেরকে অন-পেজ এসইও চেকলিস্ট দিবো যাতে আপনারা আপনাদের ওয়েবসাইট গুলো ঠিক থাকে চালাতে পারেন;
অন-পেজ এসইও চেকলিস্ট
১) লং-টেইল কীওয়ার্ড খুঁজে বের করা :
গুগল সার্চ বক্সে যখন আপনি কোনো কীওয়ার্ড এর ২/৩ ওয়ার্ড দিবেন দেখবেন গুগল আপনাকে সুগজস্টেড কীওয়ার্ড দিচ্ছে তার মধ্যে নির্দিষ্ট কিন্তু লং-টেইল কীওয়ার্ড খুঁজে বের করুন।
যেমনঃ ১)On page SEO লিখলে গুগল আপনাকে কিছু সুগজস্টেড কীওয়ার্ড দেখাবে এর মধ্যে On page SEO checklist অন্যতম যেটা নির্দিষ্ট কিন্তু লং -টেইল কীওয়ার্ড।
২) কীওয়ার্ড কম্পেটিশন : আপনি আপনার কীওয়ার্ড গুগল করার পর আপনার কীওয়ার্ড এর কম্পেটিটর ও কনটেন্ট রিভিউ করবেন। কীওয়ার্ডটি অনেক কম্পেটেটিভ কি করে বুঝবেন?
টপ রেজাল্টে কনটেন্ট অনেক স্ট
হাই ডোমেইন রেটিং (DR)/ ইউআরএল রেটিং (UR)
অথরিটি সাইট গুলো টপ রেজাল্টস এ
টপ রেজাল্টস এ স্ট্রং সিংগনাল থাকলে যেমনঃ links, comments, shares
হাই-কম্পেটেটিভ ও প্রচুর সার্চ রেজাল্টস থাকলে।
যেসকল টুলস ব্যবহার করতে পারেন:
keyword everywhere, SEO quake, Ahrefs
৩) সাপোর্টটিভ কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন: কীওয়ার্ড নিলেন এখন আপনাকে সাপোর্টটিভ কীওয়ার্ড নির্ধারণ করতে হবে। যেমনঃ Keyword #1: on-page SEO checklist (primary)
Keyword #2: on-page SEO guide
Keyword #3: on-page SEO 2020
Keyword #4: on-page SEO process
Keyword #5: content SEO checklist
৪) পোস্ট তৈরী করুন: এই ধাপে আপনি পোস্ট তৈরী করে পোস্ট করুন যদি আপনি না জানেন কি কি করতে হবে একটি পোস্ট করার জন্য তাহলে পরবর্তী পয়েন্ট অনুসরণ করুন।
৫) একটি ভালো হেডলাইন নির্ধারণ করুন: ভালো হেডলাইন এর কোয়ালিটি যেমন থাকা চাই;
মানুষ পড়তে চাইবে এমন
প্রাইমারি কীওয়ার্ড প্রথমে থাকবে
সাপোর্টটিভ কীওয়ার্ড থাকবে।
যেমনঃ How to make money with Affiliate Marketing in 2020
৬) ইউআরএল ছোট রাখা: আপনার পোস্ট বা পেজের ইউআরএল ছোট রাখলে আপনি SEO বেনিফিটস পাবেন। যেমনঃ on-page-seo-checklist-guideline না দিয়ে আপনি যদি on-page-seo-checklist ব্যবহার করেন তাহলে তা আরো বেশি ভালো দেখাবে ও এটাই বেস্ট প্রাকটিস।
৭) ইউআরএল এ কীওয়ার্ড ব্যবহার: আপনার ইউআরএল এ অবশ্যই টার্গেটেড কীওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।
৮) এসইও টাইটেল ও মেটা ডেসক্রিপশন: এসইও টাইটেল ও মেটা ডেসক্রিপশন আপনার CTR বাড়াবে যার ফলে আপনি আরো বেশি ট্রাফিক পাবেন। যেসকল জিনিস মাথায় রাখবেন ;
এসইও টাইটেল ৬০ ক্যারেক্টর এর বেশি না হওয়া বা ৬০ ক্যারেক্টর এর নিচে রাখা। মেটা ডেসক্রিপশন ১৬০ ক্যারেক্টর এর নিচে রাখা বা ১৫৫-১৫৮ ক্যারেক্টর রাখা। কখনোই Yoast’s snippet ভ্যারিয়েবল ব্যবহার করবেন না।
প্রাইমারি কীওয়ার্ড সবার প্রথমে রাখা ও সাপোর্টটিভ কীওয়ার্ড টাইটেল এ রাখা।
৯) টেবিল অফ কনটেন্ট: পোস্ট এর মধ্যে যদি আপনি কনটেন্ট টেবিল রাখেন তবে এইটি ইউসারদের কনটেন্ট এর শুরুতেই দেখে নিতে পারে কনটেন্ট এ কি কি আছে। এটি আপনাকে SEOতে বাড়তি সুবিধা দিবে। তাই আপনি এর জন্য table of content plus প্লাগিনটি ব্যবহার করতে পারেন।
১০)কনটেন্ট এর নির্দিষ্ট ওয়ার্ড এর মধ্যে কীওয়ার্ড রাখা: আপনার কীওয়ার্ড প্রথম ১৫০ ওয়ার্ডস এর মধ্যে অবশ্যই বসবেন।
১১) কীওয়ার্ড হেডিং টাইটেল এ ব্যবহার: কনটেন্ট এ অবশ্যই h১ h২ h৩ হেডিং টাইটেল এ আপনার কীওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। যেমনঃ how to use this SEO checklist এখানে SEO checklist হচ্ছে আমার কীওয়ার্ড।
১২) LSI কীওয়ার্ড ব্যবহার: কনটেন্ট এ আপনি বার বার প্রাইমারি কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন না তাই আপনি কনটেন্ট এর চাহিদা বা ন্যাচারাল ভাবে LSI কীওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। LSI কীওয়ার্ড এর জন্য আপনি LSI graph; Ubersuggest বা keyword everywhere ব্যবহার করতে পারেন।
১৩) কীওয়ার্ড ডেনসিটি: কনটেন্ট এ আপনি ১০০০ ওয়ার্ডস এ ১ বার বা ২ বার প্রাইমারি কীওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।
১৪) ইমেজ অপ্টিমাইজ: ইমেজ আপনি height ৬০০* width ১২০০ কিন্তু ১০০ kb এর নিচে ইমেজ রাখবেন। তার জন্য আপনি ইমেজ কম্প্রেস করে kb কমিয়ে নিয়েন। তার জন্য আপনি wp smesh প্লাগিন ব্যবহার করতে পারেন।
১৫) ইমেজ alt ট্যাগ: আপনি ইমেজ এ অবশ্যই alt ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
১৬) এক্সটার্নাল লিংক: এক্সটার্নাল লিংক দিবেন অথরিটি ওয়েবসাইট যেটা আপনার কীওয়ার্ড অনুযায়ী মানানসই হয়। এক্সটার্নাল লিংক এর ক্ষেত্রে ৫-৮ তা সাইটকে লিংক দিবেন।
১৭) ইন্টারনাল লিংক: ইন্টারনাল লিংক এর ক্ষেত্রে ওয়ার্ড দিয়ে ইন্টারলিংক করেন যাতে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে ঐ ওয়ার্ড এর একটি কনটেন্ট আপনার ওয়েবসাইট এ আছে। যেমনঃ on page SEO কে আপনি যদি ইন্টারনাল লিংক করেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন বুঝে নেয় on page SEO দিয়ে আপনার একটি কনটেন্ট আছে। তাই ইন্টারলিংক এর ক্ষেত্রে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।